প্রিজাইডিং অফিসারদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘পয়সা খেলাম না, এটি কোনো সততা না। আইন মেনে চলা, অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি কিনা এটি সততা। আপনি সৎ থাকলে কেউ আপনার কাছে অবৈধ আবদারের সাহস পাবে না।’
মঙ্গলবার কে কে গভ.ইনস্টিটিউশনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবিতা খানম এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, একটি কেন্দ্রের সব শৃঙ্খলা নির্ভর করে প্রিজাইডিং অফিসারের ওপর। যেসব কেন্দ্রে ভোট বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেখানে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে ভোটগ্রহণ হবে কিনা। কমিশন এই ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। ব্যালট ভোটারদের আমানত, তা যেন খেয়ানত না হয়। প্রিজাইডিং অফিসার সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকের যেই নীতিমালা আছে তা ভালোভাবে আয়ত্ত করবেন। উল্টাপাল্টা করলে প্রেসদের খেপিয়ে ফেলবেন।’
কবিতা খানম বলেন, দুইটি আদালত কাজ করবে, একটি মোবাইল কোর্ট যা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচালনা করবে আর একটি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পরিচালনা করবে। এই দুইটি আদালত তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত দেবে। পাশে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আছে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও সর্বোপরি সেনাবাহিনী। ভোটাররা মোবাইল নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। অনেক সময় ভোটাররা ভোট দেয়ার ছবি তুলে প্রার্থীকে প্রদর্শন করে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেগেটিভ ম্যাসেজ ছড়ায়। প্রার্থীদের প্রার্থী হিসেবে দেখবেন। ভয় দেখাচ্ছি না, স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। এবারের নির্বাচনে কোনো প্রকার ছাড় দিতে চাই না।’
রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানার সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. হারুন অর-রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এইচ এম রকিব হায়দার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. ফারুক আহাম্মেদ প্রমুখ।